আজিজুল ইসলাম বারী,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুনের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানগনের অভিযোগ তদন্ত করলেন রংপুর বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার ঈব্রাহিম খান।
বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী এ তদন্ত কার্যক্রম চলে। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সমর্থকদের মধ্যে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও পাল্টা পাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, গত ৭ নভেম্বর টিআর, কাবিখা, কাবিটার ভাগাভাগি নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুনের সাথে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন নাহারের পাল্টা-পাল্টি হামলা ও মামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১২ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও উপজেলা পরিষদের ২ ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন।
ওই অভিযোগের তদন্তে বৃহস্পতিবার হাতীবান্ধায় আসেন রংপুর বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার ঈব্রাহিম খান। এ সময় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি লিয়াকত হোসেন বাচ্চুকে গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান সমর্থকরা। পরে লিয়াকত হোসেন বাচ্চুর নেতৃত্বে ১২ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও উপজেলা পরিষদের ২ ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের গ্রুপে এ সময় যোগ দেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি লিয়াকত হোসেন বাচ্চু ও তার লোকজন। কিছুক্ষন পরেই উপজেলা চেয়ারম্যান সমর্থকদের সাথে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
তদন্ত কমিটির প্রধান রংপুর বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশানর ঈব্রাহিম খান জানান, তদন্ত শেষে তদন্ত প্রতিবেদন বিভাগীয় কমিশনারের কাছে জমা দেয়া হবে। পরবর্তীতে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
হাতীবান্ধা থানার ওসি শাহা আলম জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সমর্থকদের মধ্যে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও পাল্টা পাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ দুই পক্ষকে শান্ত রাখার চেষ্টা করেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।